দুই ভারতীয়কে গ্রেপ্তারের দাবি হেফাজতে ইসলামের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়ণ রানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তীব্র নিন্দা জানান। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে ভারত সরকারকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। নতুবা, বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিংগাইর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নেতারা ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার দাবি জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
এ সময় মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান আগামীকাল দুপুর ৩টায় বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে ভারতে রাসূলুল্লাহ সা.-এর নামে কটূক্তির ঘটনায় প্রতিবাদ ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে দলের নেতাকর্মীসহ দেশের আপামর তৌহিদি জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
মাওলানা মামুনুল হক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি বাতিল করায় আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাই। যদি ভবিষ্যতে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে কোনো নাস্তিক বা ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শের ব্যক্তি থাকে, তাহলে তা বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, নবী সা.-এর কটুক্তিকারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করার পাশাপাশি কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যলঘু অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানান।
আরো পড়ুন: মানবতাবিরোধী আইন সংস্কারের নামে সমকামিতা বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে
সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন এবং সিংগাইরে হেফাজতের নেতাকর্মীদের আহত ও নিহত পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।