×

পুরনো খবর

করোনায় হোটেল ব্যবসায় ধস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২০, ০৮:১০ পিএম

করোনায় হোটেল ব্যবসায় ধস

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল

   

করোনার কারণে ধ্বস নেমেছে দেশের হোটেল ব্যবসায়। অভিজাত পাঁচ তারকা কিংবা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হোটেল-মোটেলগুলোও এখন বোর্ডার শূণ্য। নতুন করে কামরা বুকিং দিচ্ছেন না কেউ। আগের বুকিং আদেশও বাতিলের হিড়িক পড়েছে। এ অবস্থায় হোটেল-মোটেলের পরিচালন ব্যয় মেটানো নিয়ে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। কর্মী ছাটাই শুরু হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠানে।

ট্যুর অপারেটররা বলছেন, চলতি পর্যটন মৌসুমে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কথা ভাবতে হচ্ছে। কেবল বিদেশী পর্যটকরা না আসায় পর্যটন খাতে শুধু গত এক মাসে কমপক্ষে শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর প্রাচীনতম পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল গত রবিবার থেকে তাদের সুইমিংপুল, জিমনেশিয়াম ও বারসহ বেশ কিছু সেবা সীমিত করে এনেছে। কর্মীদের অনেককে ছুটিও দিয়েছে তারা। হোটেলটির হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, কোরোনা ভাইরাসের প্রভাবে বোর্ডার সংখ্যা প্রায় শূণ্যের কোঠায় নেমে আসায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। স্থায়ী কর্মীদের তাদের নিয়মিত ছুটি ভোগ করতে এ সময় বলা হয়েছে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী বা কল-অন নিয়োগপ্রাপ্তদের কাজে যোগদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এই হোটেলে ২২৬টি কামরা রয়েছে, যেগুলোর মাত্র ১০-১২টিতে এখন বোর্ডার অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে আরেক পাঁচতারকা হোটেল প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হোটেলটির ৩০ শতাংশ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কর্মী ছাটাই করেন নি। তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর বাতিল হওয়ায় তাদের ১০০ স্যুটের বুকিং আদেশ বাতিল হয়। এছাড়া অন্য বিদেশী পর্যটকরাও আগাম দেয়া বুকিং বাতিল করছেন। নতুন কোনো বুকিং আদেশও আসছে না। একই কথা জানান ঢাকা রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্টের নির্বাহী পরিচালক শহীদ হামিদ। তিনি বলেন, আমাদের এখন কিছুই করার নেই। বেশিরভাগ কামরাই ফাঁকা। তাই কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। এখানে ২৫০টি রুম এবং ৩৮০ জনের বেশি কর্মী রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হোটেলের পরিচালন ব্যয় মেটানোও কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে পাঁচতারকা হোটেল রয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে ১০টির অবস্থান রাজধানী ঢাকায়, যেগুলোর কক্ষ সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে সোনারগাঁও হোটেলে ২৭৭টি, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় ২২৬টি, র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ২০৫টি, ওয়েস্টিনে ২৩৫টি, লা মেরিডিয়ানে ৩১৭টি, রেনেসাঁস হোটেলসে ২১১টি, ফোর পয়েন্টসে ১৪২টি ও হোটেল আমারিতে ১৩৪টি অতিথি কক্ষ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাভাবিক সময়ে হোটেলগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ কামরা অতিথিতে পূর্ণ থাকে। আর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পিক সিজনে খালি কামরা পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায় ধস নেমেছে পিক সিজনেই। হোটেলগুলোয় মার্চ পর্যন্ত ৭০-৮০ শতাংশ অতিথি কক্ষ আগাম বুকিং দেয়া ছিল। বিশেষ কিছু দিনে অনেক হোটেলে কোন কক্ষই ফাঁকা ছিল না। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস ইস্যুতে শেষ মুহূর্তে এসে প্রায় সব বুকিং বাতিল করেছেন ভ্রমণকারীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App