খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১২:১৪ এএম

খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বুধবারও (১৩ অক্টোবর) তার নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে রেডিওলজির মেমোগ্রাফিসহ আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়। তার শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রির কিছুটা বেশি ছিল বলে তার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে দেখতে এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক খোঁজ নেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকদিন ধরে খালেদা জিয়ার অল্প অল্প জ্বর আসছিল। তাই তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এছাড়া তার চিকিৎসকরা দেখেছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার পর আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি তার। তাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে চান তারা।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করায় এবং স্বাস্থ্যের একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান ও ইকো টেস্ট করানো হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল পরিবার। কিন্তু সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।
দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের ২৫ মার্চ সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।
এর মধ্যে গত ১১ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন তিনি। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসা চললেও ১৫ এপ্রিল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিটিস্ক্যান করানো হয় তার। এরপর আবার ফিরিয়ে আনা হয় গুলশানের বাসভবনে।
অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ এপ্রিল একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরমধ্যে বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার করোনামুক্তির খবর দেওয়া হয় ৯ মে। তবে সিসিইউতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া।
গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। এর ১৬ দিন পর বাসায় ফেরেন তিনি। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসভবন ফিরোজায় আসার পর দুইবার বাসা থেকে বের হয়ে করোনার টিকা নেন খালেদা জিয়া।