মশক নিয়ন্ত্রণ ও নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির নির্দেশ মেয়র তাপসের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪১ পিএম

ঢাদসিকের সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে জুম প্লাটফর্মে এক বৈঠকে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে (আনিকদেরকে) মাঠ পর্যায়ে মশক নিয়ন্ত্রণ ও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বদ্ধ নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকির নির্দেশ দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২১ এপ্রিল) ঢাদসিকের সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে জুম প্লাটফর্মে এক বৈঠকে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এই নির্দেশনা দেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এপ্রিল মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, সামনে ঈদ। এ সময় ডেঙ্গু মশকের যে প্রকোপ এবং আমরা যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি সেখানে আমরা দেখছি যে, প্রায় সব জায়গাতেই এডিস মশার কিছু লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টা নিবিড়ভাবে তদারকি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম কোনভাবেই যাতে ব্যহত না হয় সে বিষয়টা আপনারা তদারকি করবেন।’
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘উন্মুক্ত নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম আমাদের চলমান কর্ম পরিকল্পনার মধ্যেই আছে। এছাড়াও ওয়াসার কাছে থেকে আমরা যে বদ্ধ নর্দমাগুলো পেয়েছি সেগুলোও কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে পরিষ্কার করতে এরই মাঝে আমরা ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি। তার মাধ্যমে আমরা এগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এসব বদ্ধ নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে তদারকির নির্দেশ দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘নর্দমা পরিষ্কারের জন্য ওয়াসার একটি বাজেটও ছিলো এবং বাৎসরিক কার্যক্রমও ছিলো। কিন্তু আমরা দেখেছি যে সেটা ফলপ্রসূ কোনো সময়ই হয়নি। যার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হয়নি। এই যে ঠিকাদারদের মাধ্যমে আমরা এসব বন্ধ নর্দমা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করছি, তারা ঠিক মতো বর্জ্য পরিষ্কার করছে নাকি, আপনাদের (আনিকবৃন্দ) কিন্তু সেসব মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে হবে। ঘুরতে হবে, দেখতে হবে।’
[caption id="attachment_279756" align="aligncenter" width="846"]
মেয়র বলেন, ‘আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজগুলো যথারীতি চালিয়ে যেতে হবে। ঠিকাদারকে সহযোগিতা করতে হবে, যাদেরকে আমরা কার্যাদেশ দিয়েছি সেই কাজগুলো যেন তারা সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে পারে। কারণ আমাদের কার্যক্রমের একটি বড় অংশই কিন্তু সামনে যে জলাবদ্ধতা বা বর্ষা মৌসুম তা সামনে রেখে। আমারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন, দু' টোর সমন্বয়ে সমন্বিত কাজ করছি। যাতে করে সামনের বর্ষা মৌসুমকে আমরা ভালো করে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে পারি।’
ঢাদসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঞ্চালনায় উক্ত অনলাইন বৈঠকে কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ ও আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।