রাজশাহীতে মিনু-দুলুসহ বিএনপির ৪ নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২১, ০৪:০৫ পিএম

বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে

বাদিপক্ষের আইনজীবী আসলাম সরকার মামলার পর মঙ্গলবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সংগে কথা বলেন
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-২ এ মামলাটি দায়ের করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোসাব্বিরুল ইসলাম।
মামলায় গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও বর্তমান সরকার উৎখাতে রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়েছেন বলে জানান বাদি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আসলাম সরকার। এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এ্যাডভোকেট এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন উপস্থিত ছিলেন।
[caption id="attachment_271677" align="alignnone" width="773"]
মামলার অপর আসামীরা হলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন। দণ্ডবিধির ১২৩(ক)/১২৪(ক)/৩৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আসলাম সরকার।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপির চারজন নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে গত ৯ মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। রোববার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জারি করা আদেশ পাওয়া যায়। এরপর সোমবার এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা এবং মঙ্গলবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমদন রয়েছে সেহেতু আদালত সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়েছেন।
খায়রুজ্জামান লিটন জানান, গত ৩ মার্চ নগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপি নেতাদের ক্ষমা চাইতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। গত ৬ মার্চ আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়। এর মধ্যে গত রোববার মিজানুর রহমান মিনু ক্ষমা না চেয়ে দু:খ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। ফলে ক্ষমা না চাওয়ায় নগর আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান লিটন।