×

জাতীয়

দেশে বিলুপ্তপ্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতি ৬৪টি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:১৩ পিএম

দেশে বিলুপ্তপ্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতি ৬৪টি

মিঠা পানির মাছ/ ফাইল ছবি

   

বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিস এইআইএস-এর হিসেব অনুযায়ী, দেশে বিলুপ্তপ্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪টি। ট্যাংরা, মহাশোল, সরপুঁটি, টাটকিনি, বাগাড়, রিঠা, পাঙাশ আর চিতল মাছের প্রজাতিগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয়গুলোর আয়তনে সংকোচন, নদী বা জলাশয়ের পানির অপরিমিত ব্যবহার, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকের দ্বারা পানির দূষণ এবং মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের সংখ্যা কমছে। খবর বিবিসির।

তবে গত এক দশকে কৃষিপণ্য হিসেবে মাছের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে 'প্রায় বিলুপ্তি'র মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যাও এখন বাড়ছে বলে কৃষি বিভাগ দাবি করছে। বিশ্বে মিঠা পানির মাছের ওপর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ডাব্লিউডাব্লিউএফ, লন্ডন জুলজিক্যাল সোসাইটি, গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনসহ ১৬টি পরিবেশবাদী সংগঠন মিলে 'দ্যা ওয়ার্ল্ডস ফরগটেন ফিশ' নামে এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে অবশ্য কৃষি বিভাগ একটি দাবিও তুলে ধরা হয়েছে। তা হলো, গত এক দশকে কৃষিপণ্য হিসেবে মাছের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় 'প্রায় বিলুপ্তি'র মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যাও এখন বাড়ছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে মিঠা পানির মাছের সংখ্যায় 'বিপর্যয়' ঘটেছে। প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রজাতির মাছ এখন বিপন্ন হওয়ার মুখে। পরিবেশবাদী গ্রুপগুলো দাবি, ৮০টি প্রজাতি সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে গত এক বছরের মধ্যে।

বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য মিঠা পানির মাছ এবং এই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন আরও বহু লোক। বর্তমানে পরিবেশ দূষণ, নির্বিচার শিকার, নদীতে বাঁধ নির্মাণ এবং জলাভূমি বিনষ্ট হওয়ার ফলে মাছের প্রজাতিতে ধস নেমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে মাছের সংখ্যাও কমেছে এক তৃতীয়াংশ। একই সময়ে 'মেগা ফিশ' নামে পরিচিত বড় জাতের মাছের সংখ্যা কমেছে শতকরা ৯৪ ভাগ।

বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিস এইআইএস-এর হিসেব অনুযায়ী, দেশে বিলুপ্তপ্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪টি। ট্যাংরা, মহাশোল, সরপুঁটি, টাটকিনি, বাগাড়, রিঠা, পাঙাশ আর চিতল মাছের প্রজাতিগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয়গুলোর আয়তনে সংকোচন, নদী বা জলাশয়ের অপরিমিত ব্যবহার, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকে পানির দূষণ এবং মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরা এর জন্য দায়ী।

পরিবেশ গ্রুপগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপেও মিঠা পানির মাছ কমছে উদ্বেগজনক হারে। স্টার্জন, বার্বট ইত্যাদি মাছ যুক্রতরাজ্যের মিঠাপানি থেকে একেবারে হারিয়ে গেছে। ইউরোপিয়ান ঈল বিলুপ্ত হওয়ার মুখে রয়েছে।

পরিবেশবাদী সংস্থা ডাব্লিউডাব্লিউএফ মিঠা পানির মাছের সংখ্যা কমার পেছনে নদীর বেহাল দশা, দূষণ, বাঁধ নির্মাণ এবং পয়োনিষ্কাশনকে দায়ী করেছে।

বাংলাদেশে মিঠা পানির মোট প্রজাতি সংখ্যা ২৬০টি। এর মধ্যে ছোট মাছ রয়েছে ১৪৩টি। দেশে যে পরিমাণ মৎস্য উৎপাদিত হয় তার মধ্যে ছোট মাছের অবদান শতকরা ৩০ ভাগ।

ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর কর্মকর্তা ডেভ টিকনার বলছেন, সারা বিশ্বে মিঠা পানির আবাসস্থলে বহু প্রজাতির মাছ থাকে। কিন্তু এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে তাদের সংখ্যা বিপজ্জনক হারে কমছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা দা নেচার কনসারভেন্সির কর্মকর্তা কারমেন রেভেঙ্গা বলেন, বহু বৈচিত্র্যের মিঠা পানির মাছ শুধু নদী কিংবা জলাশয়ের জন্যই প্রয়োজনীয় নয় লাখ লাখ মানুষ, বিশেষভাবে যারা দরিদ্র, খাদ্য ও জীবিকার জন্য এই মাছের ওপর নির্ভরশীল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App