গণঅভ্যুত্থান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ওএইচসিএইচআরের, যেসব প্রমাণ মিললো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্ত করায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনারের অফিসকে (ওএইচসিএইচআর) ধন্যবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে এই তদন্ত করেছে ওএইচসিএইচআর। তাদের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা সরকার, আওয়ামী লীগ, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিনাবিচারে আটক, নির্যাতন ও অসম শক্তি প্রয়োগসহ ভয়াবহ ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাবেক সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আওয়ামী লীগের সহাযোগিতায় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অন্তত এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে মূল্যায়ন করেছে ওএইচসিএইচআর। তাদের বড় অংশকেই সামরিক রাইফেল ও প্রাণঘাতী ধাতব পেলেটভর্তি শটগান দিয়ে গুলি করা হয়েছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী এসব অস্ত্র ব্যবহার করে।
এছাড়া কয়েক হাজার মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে গেছেন। ১১ হাজার ৭০০ জনকে আটক করেছিল র্যাব ও পুলিশ। যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ ছিল শিশু।
হত্যা ও পঙ্গু করে দিতে শিশুদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের বিনাবিচারে আটক করে নির্যাতন ও অমানবিক পরিবেশে রাখা হয়েছে। এ সময়ে নারীদেরও ওপরও হামলা চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা, জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর।
আরো পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টাকে আয়নাঘরে যা যা দেখালেন ভুক্তভোগীরা