ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ এড়াতে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে: আইজিপি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আগামী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি দেখতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তিনি সেখানে যান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি বাহারুল আলম।
বাহারুল আলম বলেন, মুসল্লিরা এখানে আসেন দ্বীন ও দুনিয়ার কামিয়াবি হাসিলের জন্য। তবে কিছুদিন আগে তাদের মাঝে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। মতদ্বৈততা মানুষের মাঝে থাকে, তাদের মাঝেও হয়েছে। তবে উভয় পক্ষই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন। এরপর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপর পক্ষের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো মতদ্বৈততা বা সংঘাতের সম্ভাবনা নেই, উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা পালন করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এবারের প্রেক্ষাপটকে ভিন্ন উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে। বিশেষত জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলি এবং এখনো অনেক অস্ত্র বাইরে আছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের চাইতে সুদৃঢ় করেছি। সম্প্রতি যেসব সংঘর্ষ হয়েছে, এসবের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ইজতেমার সময় পরিবর্তনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি আরো বলেন, ‘আমরা মাঝখানে একটু সময় বাড়িয়েছি, যেন প্রথম পক্ষ আমাদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার পর পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারি। যখন আমরা মাঠ বুঝে নেয়ার পর সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) হব, কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে না, তখন আমরা দ্বিতীয় পক্ষকে ইজতেমা আয়োজনের আহ্বান জানাব। এ জন্য আমরা একটু সময় নিয়েছি। এটা দুই পক্ষকে নিয়ে বসেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
আইজিপির ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-গাজীপুর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম, উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন এবং মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের শীর্ষ পর্যায়ের মুরব্বি মাহফুজুল হান্নানসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে এবারো বিশ্ব ইজতেমার তারিখ আলাদাভাবে ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে প্রথম পর্বে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এবং দ্বিতীয় পর্বে ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই গত ১৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ইজতেমা মাঠে জোড় পালনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়।