তিতাসের অভিযান
নারায়ণগঞ্জে ৮০০ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ অভিযান পরিচালনা করে তিতাসের মোবাইল কোর্ট। এ সময় ৮০০ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনোনিতা দাসের নেতৃত্বে ও তিতাস গ্যাসের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মিজমিজি এলাকায় দিনব্যাপী অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৪টি কয়েল তৈরির কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারখানা মালিকদের তাৎক্ষণিক জরিমানা করা হয়।
এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া মতিন সড়কের মুদি কয়েল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনার সময় তিনটি অবৈধ সোর্স পয়েন্ট কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মালিকপক্ষকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
একইভাবে ধনু হাজি রোড মসজিদ গলিতে নাজ কিং ও আসমানি সুপার গোল্ড নামক কয়েল কারখানায় অভিযান চালনো হয়। এই কারখানায়ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কারখানা মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে একই সড়কে ব্ল্যাক কিলার কোয়েল ফ্যাক্টরির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ১/২ ইঞ্চি ব্যাসের ৫০ ফিট, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ৩০ ফিট ও ১০০ ফিট লম্বা হোস পাইপ জব্দ করা হয়।
মিজমিজি উত্তরপাড়া মতিন সড়কের ডিকে মার্কেটিং এ্যান্ড ট্রেডিং নামক একটি কয়েল কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে কোনো গ্যাসের সংযোগ পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে সোমবার সোনারগাঁওয়ে মিরেরটেক ও হাতুড়িপাড়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মিরেরটেক এলাকায় ২টি এবং হাতুড়াপাড়ায় ২টি স্পটে ২ ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট ২ টি এবং ২ টি ১ ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানকালে চারটি স্পটে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিতরণ লাইন ও ৩০০টি বাড়ির ৮০০টি অবৈধ আবাসিক চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ২ ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট ৩০ ফুট, ১ ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট ৭০ ফুট এমএস পাইপের সম্পূর্ণ অংশ এক্সকাভেটরের মাধ্যমে অপসারণ ও জব্দ করা হয়। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং ও ক্যাপিং করা হয়।