মন্দিরে হামলার চক্রান্ত সফল হয়নি: উপদেষ্টা ফারুকী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮ এএম

ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সারয়ার ফারুকী বলেছেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে একটি ভিন্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময় প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে পুলিশের কার্যক্রম ছিল না। এই সময়ে মুসলমানরা নিজ উদ্যোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির রক্ষা করেছে এবং একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র। পাশের দেশ থেকে পালিয়ে আসা ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা মন্দিরে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু দেশের জনগণ তাদের চক্রান্ত সফল হতে দেয়নি। ফলস্বরূপ, চক্রান্তটি ব্যর্থ হয়।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে আয়োজিত মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারয়ার ফারুকী আরো বলেন, দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। লোক কারুশিল্পের শিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য সারা বছর যাতে প্রদর্শন ও বিপণনের ব্যবস্থা করা হয় সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। পানাম নগরের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনগুলো কিভাবে সংস্কার করা যায় সেটি নিয়েও কাজ করবে মন্ত্রণালয়। স্থাপনা সংরক্ষণের পর হ্যারিটেজ মিউজিয়াম ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
১৯৭৬ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ১৯৯১ সাল থেকে নিয়মিতভাবে মাসব্যাপী লোকজ মেলার আয়োজন করে আসছে। এবারের মেলায় কারুশিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়স্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, কর্মরত কারুশিল্পীর কারুপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।