ভারতীয় জেলেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলেদের ওপর শারীরিক নির্যাতনসহ দুর্ব্যবহারের ভিত্তিহীন মন্তব্য এবং বানোয়াট অভিযোগের প্রতি গভীর হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ এই হতাশা প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, কোনো অবস্থাতেই আটক জেলেদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হয়েছে এবং দেখা গেছে এই ধরনের দুর্ব্যবহার বা শারীরিক নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ উল্লেখ করতে চায় যে, আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে-ক্রু সদস্যকে বাংলাদেশে অবস্থানকালে যথাযথ আচরণ করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের যথাযথভাবে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেয়া হয়েছিল। যারা আটকের সময় জেলেদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভারতীয় জেলেদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার সময় এবং ৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মংলা থেকে জেলেদের যাত্রার সময় ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো সমস্ত ভারতীয় জেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে নিশ্চিত করে যে তারা চিকিৎসাগতভাবে সুস্থ আছেন। সমুদ্র সীমান্তের দিকে তাদের যাত্রার সময়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ সব প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং ব্যবস্থা প্রদান করে।
আরো পড়ুন: জানুয়ারিতে দেশে আসবেন শেখ হাসিনা, যা জানা যাচ্ছে
জেলেদের পারস্পরিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ভারত সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলকভাবে মানবিক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। বাংলাদেশ সব পক্ষকে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা এড়াতে আহ্বান জানিয়েছে যা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
উল্লেখ্য, ভারতে আটক ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও ক্রু এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও ক্রুকে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমান্তরেখার কাছে সফলভাবে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য বিভাগ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও ক্রু সদস্যকে গ্রহণ করে এবং ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও ক্রু সদস্যকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। একই সঙ্গে আটক করা জাহাজের বিনিময় সম্পন্ন হয়, দুটি বাংলাদেশি মাছ ধরার জাহাজ, এফভি লায়লা-২ এবং এফভি মেঘনা-৫, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয় এবং ছয়টি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।