শীতের প্রকোপ আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। সপ্তাহজুড়ে তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে এটি দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। ইতোমধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তা শুরু হয়েছে। এছাড়া ৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীতে ৫ থেকে ৬ দিনের জন্য তাপমাত্রা কমতে পারে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলা সূর্যের আলো অনেক স্থানে দেখা যাবে না। শীতের অনুভূতিকে যা আরো তীব্র করবে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। আর রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য জেলার তাপমাত্রা ১৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলের কাছ থেকে ঠাণ্ডা বাতাস নিয়ে আসছে। ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো পেরিয়ে যা পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এই ঠাণ্ডা বাতাস বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হতে শুরু করবে। ফলে সকাল থেকে দেশের ওপর দিয়ে কুয়াশাযুক্ত ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হবে।

তারা জানান, আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়া যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।