অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বললো তাবলিগের দুই পক্ষ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে মসজিদ ব্যবহারে সরকারের দেয়া সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের বিবদমান দুই পক্ষ। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তাবলিগ জামাতের কার্যক্রমে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্তে উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ এর অনুসারীরা পূর্ব থেকে জেলা ও উপজেলায় যে সকল মসজিদে নিজ নিজ তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয় সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে শুরায়ী নেজামের (জুবায়েরপন্থি) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, সরকারী আদেশের ভেতরে কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। আগে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, তার সবই বলবৎ আছে। প্রশাসনের কাছে জেলা উপজেলা পর্যায়ে কোথাও কোথাও সমস্যার খবর এসেছে, সে কারণে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (সাদপন্থি) মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, আমরা কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী সরকারের কাছে বৈষম্য বিরোধী সিদ্ধান্ত আশা করছি। সারাদেশে জুবায়েরপন্থিরা বিভিন্ন মারকাজ ও মসজিদ দখল, আমাদের সাথীদের আমলে বাঁধা প্রদান, ভয়াবহ জুলুম, দেশব্যাপী মব জাস্টিস ও ম্যাসাকার চালাচ্ছে। আমরা আশা করছি এই প্রজ্ঞাপনের দ্বারা এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর জুবায়েরপন্থিদের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দিলে জুবায়েরপন্থিরা তা প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।
এই অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর রাতেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন তিন জন ও আহত হয় শতাধিক মুসল্লি। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় জুবায়েরপন্থিদের পক্ষ থেকে সাদপন্থিদের ২৯ জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়।