সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নৌবাহিনী কর্মকর্তা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পিএম

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। ছবি : সংগৃহীত
সচিবালয়ে লাগা আগুন পরিকল্পিত হতে পারে সন্দেহ প্রকাশ করে নৌ-বাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার (পিও) আমিনুল ইসলাম বলেন, শর্ট সার্কিট থেকে সাধারণত একাধিক স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ছয়তলা, নয়তলা একসঙ্গে আগুন লেগেছে, যা পরিকল্পিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সহায়তায় নৌ-বাহিনীর একটি টিম মোতায়েন করা হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমিনুল ইসলাম বলেন, যেখানে আগুন লেগেছে, সবকিছু পুড়ে গেছে। আমরা এখনো সবকিছু সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারিনি, তবে তা করব। নৌ-বাহিনীর টিম এখানে কাজ করছে।
পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ডের সন্দেহের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, শর্ট সার্কিটের আগুন সাধারণত এক জায়গা থেকে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আগুন একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে লেগেছে, যা অস্বাভাবিক।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, সচিবালয়ের আগুন লাগার কারণ সম্ভবত ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ছিল। এক জায়গা আগুন ধরলে বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে সব জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এটা হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক কারণ এখনো আমরা বের করতে পারি নাই। আগুন নেভানোর পর আমরা যখন সব জায়গা তল্লাশি করব, তখন আপনাদেরকে বলতে পারব।
আরো পড়ুন : সচিবালয়ে আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণ জানা গেলো
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি- তিনটি জায়গায় একসঙ্গে আগুন দেখা গেছে। যখন স্পার্কিং হয়, যদি বিদ্যুৎ লাইনের শর্ট সার্কিট হয়- এটা হতে পারে। তবে আমরা এটা এখনও নিশ্চিত বলব না; যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তদন্ত শেষ করছি। কিন্তু এটা হতে পারে। এটা হয়েছে- আমরা বলব না। যদি শর্ট সার্কিটের বিষয় থেকে থাকে, যদি একই লাইন হয়ে থাকে- তাহলে এটা হতে পারে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় একের পর এক ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় কীভাবে আগুন লাগল। কেউ কেউ আগুন লাগার ঘটনাকে নাশকতা বলে উল্লেখ করছেন।