‘সাদপন্থিরা তাবলীগ নয়, তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
তাবলীগ জামাতের সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি বাহিনী বলে মন্তব্য করেছেন তাবলীগ জামাতের নেতা মুফতি কেফায়তুল্লাহ আজহারী।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কাকরাইল মসজিদে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি টঙ্গীতে সাদপন্থিদের নৃশংস হামলা ও তাবলীগ জামাতের চলমান সমস্যা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের দায়-দায়িত্ব বিগত বছরগুলোতে শূরাই নিজামের ওপর পরিপূর্ণরূপে ন্যস্ত ছিল। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয়, গত ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুতি ও মাঠের পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত তাবলীগ জামাতের সাথী ও মাঠে অবস্থিত মাদ্রাসার কোমলমতি শিশু এবং তাদের শিক্ষকদের ওপর বিনা কারণে সাদপন্থিরা বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলা চালায়। রামদা, কিরিচ, ছুরি, লোহার রডের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ও নামাজরত নিরীহ-নিরস্ত্র তাবলীগ জামাতের সাথীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ইতিহাসের এ বর্বরোচিত হামলায় নেজামের তিনজন সাথী নিহত এবং শত শত সাথী মারাত্মকভাবে আহত হন। সাদপন্থিরা এতটাই হিংস্র হয়ে উঠে যে, বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের ওপরও হামলা চালাতে দ্বিধাবোধ করেননি।
তিনি আরো বলেন, সাদপন্থিরা একই কায়দায় গত ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরেও একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলীগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন । এতেই প্রমাণিত হয়, সাদপন্থিরা তাবলীগ নয় বরং তারা সন্ত্রাসী, চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ তারিখ রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল । তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না ।
কেফায়তুল্লাহ বলেন, ১৭ তারিখের রাতে টঙ্গির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল । অবস্থার দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা যোগসাজশ করে সাদপন্থিদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি নীল নকশা করেছিল । তাদের এ নীল নকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে কিছু জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি জানানো হয়। ১. সাদপন্থিদের কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ২. ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বর হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৩. কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলীগের সব কার্যক্রম শূরাই নিজামের অধীনে পরিচিত হওয়ার নিশ্চিত করতে হবে।