কঠোর গোপনীয়তায় শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরিকল্পনা, নেতৃত্ব দেন যারা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কোটা আন্দোলনের জেরে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যেতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যান শেখ হাসিনা।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে, শেখ হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তৎকালীন এসএসএফের ডিজি মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান এবং সেনাবাহিনীর কিউএমজি জেনারেল মুজিব তার পালানোর পরিকল্পনা করেন। জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী এ ব্যাপারে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের প্রয়োজনীয় গাইডলাইন নেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কোনো বিমানে করে যেতে চাচ্ছিলেন না। তিনি ভারত থেকে বিমান এনে যেতে চেয়েছিলেন।
আরো পড়ুন: ‘তোমরা আমাকে গুলি করে মেরে ফেল’, সামরিক কর্মকর্তাদের কেন বলেছিলেন শেখ হাসিনা
কিন্তু সে দেশের কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারত বিমান পাঠাতে পারবে না। এটা করা হলে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস সৃষ্টি হবে। এরপর সিদ্ধান্ত হয় বিমানবাহিনীর বিমানে করেই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়বেন। আরো সিদ্ধান্ত হয়, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কিছু সময়ের জন্য অন্যান্য বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হবে। রাডারে যাতে বিমানটি ধরা না পড়ে, সে জন্য এর ট্রান্সপন্ডার অফ রাখা হবে। এছাড়া বিমানটি ফ্লাই করার আগে যাতে খবরটি ‘লিক’ হয়ে না যায় এবং শেখ হাসিনার গতিবিধি যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য আগে থেকেই ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কিংবা গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন বলে দুটি খবরও ছড়িয়ে দেয়া হয়। ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন- এই আসল খবরটি যাতে জানাজানি না হয়, সে জন্যই এভাবে প্রতারণা করে দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার চিন্তা করা হয়।