ডেইলি মেইলের রিপোর্ট
শেখ হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর ও ৪ বিলিয়ন পাউন্ড ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটেনের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রের চুক্তিতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, এই চুক্তিতে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন তারা। যার তদন্ত এখন চলমান। খবর ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনের আর্থিক খাতে দুর্নীতিরোধের দায়িত্ব সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের কাঁধে। তবে টিউলিপের জন্মভূমি বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনা ২০১৩ সালের। সে সসময় তৎকালীন লেবার পার্টির সংসদীয় প্রার্থী ছিলেন টিউলিপ। তখন পর্যন্ত সরকারী প্রতিনিধিদল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিলেন তিনি। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
ওই অনুষ্ঠানে পুতিন এবং খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন টিউলিপ। এতে ছবিতে মিস সিদ্দিককে হাসিখুশি দেখা যায়। টিউলিপের রাশিয়া সফরের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এগুলো নিয়ে নতুন করে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
এ সময় রাশিয়ার সঙ্গে ১ বিলিয়ন পাউন্ড অস্ত্র চুক্তি সইয়ের আগে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরের দেশের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তি হয়। যেখানে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪ বিলিয়ন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে লেবার পার্টির এক মুখপাত্র জানান, টিউলিপ এমপি হওয়ার ১১ বছর আগের ঘটনা এটি। টিউলিপ শুধুমাত্র তার খালাকে দেখতে এবং তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। পারিবারিক সদস্য হওয়ার বাইরে তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তাতে তার কোনো ভূমিকা ছিল না।
দলের আরেক মুখপাত্র টোরি জানান, এই ছবিগুলো টিউলিপ সিদ্দিকের তথাকথিত পারিবারিক মস্কো সফরের পরিস্থিতি বিষয়ে কিছু গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দশ বছরেরও বেশি সময় পরে, তার সফর এবং এই ছবির নেপথ্যে সত্যতা সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়ার সময় এসেছে।