থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেসব কাজ করা যাবে না

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
থার্টি ফার্স্ট উদ্যাপন নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) আলমগীর আলম।
এতে বলা হয়, বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সামগ্রীক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কৌশলগত স্থানে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও কেউ উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়।
সভায় সারাদেশে গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদেরকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জাগুলোয় পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ করা হয়। সভায় উপস্থিত খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতারা বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের নেয়া ব্যবস্থায় খুশি হয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আকরাম হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপার অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।