×

জাতীয়

পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে কারা জড়িত, জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম

পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টিতে কারা জড়িত, জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

ছবি: সংগৃহীত

   

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, দেশের শিল্প খাতে অস্থিরতা চলছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে এই অস্থিরতা দৃশ্যমান যা সৃষ্টি করা হয়েছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের বন্ধুরাষ্ট্র জড়িত হয়ে কিছু সমস্যা তৈরি করছে। কিছু সমস্যা শ্রমিকেরা না বুঝে করছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যকম নিয়ে আয়োজিত ‘নাগরিক উৎসবে’ এম সাখাওয়াত এসব কথা বলেন। দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) যৌথভাবে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মিলনায়তনে ওই উৎসবের আয়োজন করে।

 উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকেরা সমস্যা তৈরি করছেন না। সমস্যা তৈরি করানো হচ্ছে তাদের হাত করে। এটি দুর্ভাগ্যজনক। যারা দেশের বাইরে থেকে অস্থিরতা তৈরিরে পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন, তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন এম সাখাওয়াত। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চারটি জাতীয় নির্বাচন দেশে–বিদেশে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের সর্বশেষ তিনটি নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি জানান, কীভাবে নির্বাচনকে নষ্ট করতে হয়, তা নিয়ে পিএইচডি করতে দেশের বাইরে যেতে হবে না। এই নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক। তার পরিণতি ইতিমধ্যে দেখা গেছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো  শেষ করে দেয়া হয়েছে। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ভোট ছিল একটি উৎসব। কিন্তু গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নির্বাচন তখনই গ্রহণযোগ্য হয়, যখন তা অংশগ্রহণমূলক হয়। অংশগ্রহণ মানে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ভোটারদেরও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি আশা করেন, আগামী নির্বাচন যখনই হোক, তা একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

তিনি বলেন, আগামী দিনে যে নির্বাচন হবে, তাতে যারা অংশ নেবেন, তারা নিশ্চয় গত তিনটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। যদি শিক্ষা না নেন, তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক। যাতে কারোর ভোট ছিনতাই না হয়ে যায়, এ  ব্যাপারে নাগরিকদের ভোটাধিকার নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, মানুষের মধ্যে অধিকার–সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষের কিছু জন্মগত অধিকার রয়েছে। গণতন্ত্রের চেতনা জাগ্রত থাকলে শাসনতন্ত্র ও আইনের প্রয়োজন হয় না। আর সেই চেতনা মরে গেলে শাসনতন্ত্র ও আইন দিয়েও তা জাগানো যাবে না। তিনি বলেন, মানুষ এখন স্বাধীনতার যে স্বাদ পাচ্ছে, তা ধরে রাখার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।

সুজন সম্পাদক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সবার দায় আছে। এ ক্ষেত্রে দায় বেশি রাজনীতিবিদদের। তারা যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করেননি। বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, দেশ বাজিকরের হাতে।

ড. মজুমদার বলেন, এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার দরকার। এটি চাপিয়ে দিলে হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ থেকেই সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে নাগরিকেরা সোচ্চার না হলে কোনো কিছুই সফল হবে না। এই রাষ্ট্রের মালিক হলো জনগণ।

সবাই চায় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসুক—এমন মন্তব্য করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা আশা করছেন, ১৭ ডিসেম্বর আদালতের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসবে। এটা যাতে আর কখনো বাতিল না হয়, সে জন্য সবাইকে ‘ওয়াচ ডগের ভূমিকা’ পালন করতে হবে।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App