ভৌত পরিকল্পনার অভাবে যত্রতত্র প্রকল্প হচ্ছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
পরিকল্পিত উন্নয়নের মূলনীতি জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা তৈরি হয়নি বলেই দেশে অপরিকল্পিত ও বিশৃঙ্খলা উন্নয়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, পৃথিবীতে পরিকল্পিত উন্নয়নের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। সেখান থেকে যে কোন একটি বিষয় বেছে নিয়ে তা বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে হবে। তা না হলে কাঙ্খিত পরিকল্পিত উন্নয়নের মূলনীতি প্রণয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পরিকল্পনানীতি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বনানীর বিলিয়া মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের (সিইউএস) উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজধানীর ভৌত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী ও পরিকল্পনাবিদ মো. নুরুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধে প্রকৌশলী-পরিকল্পনাবিদ মো. নুরুল্লাহ জানান, একটি উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে সমন্বিত উন্নয়নের জন্য মৌলিক ৩টি ধারায় সমান্তরালভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রথমত. সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা; এটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রণয়ন করা হয়। এটি বাংলাদেশে আছে। দ্বিতীয়ত. জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির বাংলাদেশে অনুপস্থিতি রয়েছে। এটা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য কোন আইনী ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই। তৃতীয়ত. প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কার্যক্রম করা; এটি বেশ আগে শুরু হলেও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো খুবই দুর্বল।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের বিষয়ে নাক গলানো অনুচিত ভারতের: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
তিনি জানান, জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা না থাকায় দেশে কার্যকর বিবেচনা ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংস করে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও উন্নয়ন ঘটছে। এটা রুখে দিতে প্রয়োজন জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের তিন ধরনের ধারণা রয়েছে। ১. ভৌত পরিকল্পনা ২. নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা এবং ৩. স্থানিক পরিকল্পনা। এখন আমাদের এটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা দরকার। কোনটি আমরা গ্রহণ করবো। তা নাহলে পরিকল্পিত বাংলাদেশ গঠন এবং বিশৃঙ্খল উন্নয়ন ও পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
নগর গবেষণা কেন্দ্রের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মরতুজা, বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক-উর-রহমান ও স্থপতি-পরিকল্পনাবিদ সালমা এ. শফি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।