×

জাতীয়

অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হয়নি

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পিএম

রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হয়নি

ছবি: সংগৃহীত

   

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’এর খসড়ায় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশের যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। তবে আরো কিছু সংশোধনী এনে করা অধ্যাদেশের খসড়াটি অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন দেয়া হয়। 

বুধবারই প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বেঠকে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং এটি গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে আমরা যে অধ্যাদেশের সংশোধনী করেছিলাম, সেখানে সংগঠনকে শাস্তি দেয়ার বিধান ছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, কোনো সংগঠনকে শাস্তি দেয়ার যদি প্রয়োজন মনে করে, যদি মনে করে শাস্তি দেয়া দরকার, তাহলে ট্রাইব্যুনাল শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে’। 

‘আজকে উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনায় বলা হয়েছে, ‘আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্ন এলে এই আইনকে অযথা প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সুযোগ দিতে চাই না। আমরা একদম স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচারটি করতে চাই। সে জন্য এই বিধান বাতিল করা হয়েছে’।

আসিফ নজরুল বলেন, তারা অনুভব করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের বিরুদ্ধে যদি অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়, যদি নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে সমাজে, তাহলে অন্যান্য আইন রয়েছে। সেসব আইনে নিষিদ্ধ করার বিধান আছে। সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনী আইনে রয়েছে, ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিস অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮’-এ রয়েছে। 

কাজেই এখানে [‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ] এই বিধানটি নেই দেখে জনমতের প্রতি, জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকল না এটা নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে থাকল না, কিন্তু দেশে প্রচলিত অন্যান্য আইন রয়েছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে... সেটা পরে বিবেচনা করা হবে।

এর আগে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর সংজ্ঞা যুগোপযোগীকরণ, অপরাধের দায় নির্ধারণ, অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে বিচারকাজ ধারণ ও সম্প্রচার, বিদেশি কাউন্সেলের বিধান, বিচারকালে অভিযুক্তের অধিকার, অন্তর্বর্তীকালীন আপিল, সাক্ষ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা-সংক্রান্ত বিধান, তদন্তকারী কর্মকর্তার তল্লাশি ও জব্দ করার বিধান, পর্যবেক্ষক, সাক্ষীর সুরক্ষা, ভিকটিমের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার বিধান সংযোজন করে সংশোধনীর খসড়াটি করা হয়েছে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন প্রণয়ণ করা হয়েছিল। এখন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে যেসব হত্যাকান্ড হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App