কাঠগড়ায় কাঁদলেন সাবেক ওসি মাজহারুল, যা বললেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম

মাজহারুল ইসলাম
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগের মামলার শুনানিকালে আদালতে কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম, আমি কোনো হত্যকাণ্ড ঘটাইনি। বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় আট আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাইব্যুনালে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তবে যথাযথ আবেদন না থাকায় আসামিদের পক্ষে শুনানি করতে পারেননি কোনো আইনজীবী। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পড়ে শুনান।
এসময় মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়া থানায় করা হত্যা ও লাশ পোড়ানোর কথা উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর। এসময় আসামি মাজহারুল ইসলাম কাঠ গড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত আমি কখনো আশুলিয়া ছিলাম না।’ এসময় তিনি মাথায় হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর তিনি বলেন, ‘আমি কোনো হত্যাকাণ্ডে ছিলাম না। আমি ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। আমি ছাত্রদের সহযোগিতা করেছি।’
পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আশুলিয়ায় হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মাজহারুল ইসলাম নয়, আরাফাত, কাফি ও শাহিদুল জড়িত ছিল। তবে মাজহারুল ইসলাম গুলশানে ছয় ছাত্র হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল।’ এ সময় মাজহারুল ইসলাম কান্নাকাটি করতে থাকেন।
এরপর সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে পৃথক দুটি প্রিজনভ্যানে করে আট আসামিকে হাজির করা হয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জিয়াউল আহসানকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে একটি প্রিজনভ্যানে আনা হয়। অপর ছয়জনকে আরেকটি প্রিজনভ্যানে কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে।