‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত অনুমোদন, যা আছে খসড়ায়

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করার বিধান রেখে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ শিরোনামে এর খসড়ায় সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। খসড়াটি এখন গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ঠিক কতদিনের মধ্যে অধ্যাদেশটি জারি হতে পারে, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সরকারের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘প্রয়োজনীয় সবদিক মাথায় রেখেই খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে। যতটুকু জানি, খুব শিগগিরই সেটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে এই অধ্যাদেশটি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন সরকারের একটি ‘আইনি বৈধতা’ দেয়ার জন্যেই এই অধ্যাদেশটি করা হচ্ছে। অধ্যাদেশে উপদেষ্টা নিয়োগের কিছু শর্তও যুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: নিজের জন্মদিনে প্রধান উপদেষ্টাকে যে পরামর্শ দিলেন শফিক রেহমান
যদিও অধ্যাদেশের খসড়ায় থাকা প্রশ্ন না করার বিষয়টিকে ‘দায়মুক্তি’ বলে সমালোচনাও রয়েছে। কিন্তু ঠিক কী আছে খসড়া অধ্যাদেশটিতে? তিন মাস রাষ্ট্র পরিচালনার পর সরকারই বা এখন অধ্যাদেশ জারির তাগিদ অনুভব করছে কেন? অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন, ক্ষমতা, কার্যাবলি, মেয়াদসহ আরো বেশকিছু বিষয়ে বলা হয়েছে এই অধ্যাদেশে।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের তিনদিনের মাথায় (৮ আগস্ট) শপথ গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ওই দিন থেকে শুরু করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অর্থাৎ বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার দিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
বিলুপ্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতোই এই সরকারে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা। তবে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে গঠিত এই সরকারের আকারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করা হয়নি অধ্যাদেশের খসড়ায়।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বলা হয়েছে, একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা যতজন নির্ধারণ করবেন, ততজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। এক্ষেত্রে দেশের স্বনামধন্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী অন্য উপদেষ্টারা নিযুক্ত হবেন।
শপথ গ্রহণের পর সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় উপদেষ্টা পরিষদ রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। একই সঙ্গে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং সংবিধান বা অন্য কোনো আইন দিয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহায়তা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে এতদিন ২১ জন উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করলেও রবিবার আরো তিনজন উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন মোট ২৪ জন।
সূত্র: বিবিসি