চেয়ারম্যানদের স্বপদে বহালের দাবি
উপজেলায় প্রশাসক নিয়োগ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ধাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী চেয়ারম্যানরা স্বপদে বহালের দাবি জানিয়েছেন। রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণের পক্ষে গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইজদুর রহমান চৌধুরী মিলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় কক্সবাজারের মহেশখালী সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, চাপাইনবাবগঞ্জের বাঘাবাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, নাটোরের জাহাঙ্গীর হোসেন মাানিকসহ আরো কয়েকজন সাবেক চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
মিলন বলেন, তারা কোনো দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হননি। প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জয়লাভ করেছেন। সরকার গত ১৪ আগস্ট এক স্মারকে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়েছেন। যা খুবই দুঃখজনক।
আরো পড়ুন: বিএনপির মিছিলের সামনে ‘জয়-বাংলা’ স্লোগান, এরপর যা ঘটলো
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়েই সর্বদা ব্যস্ত থাকেন। ইচ্ছা করলেই জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর হয় না। বিগত নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের নির্ধারিত প্রতীক ও রাজনৈতিক দলের মনোগ্রাম সম্বলিত কোন ছবি ছিল না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। যা তদন্ত করলে প্রমানিত হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অব্যাহতি দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা সম্পূর্ণ বেআইনী দাবি করে তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরিষদ বহাল তবিয়তে আছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি নেতা শপথ গ্রহণ করে মেয়র হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়গুলি বৈষম্যবিরোধী নয় কী?
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে চাই বিগত ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের স্বত্ব:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। কোথাও যদি কেউ কোন অনিয়ম বা পেশি শক্তির ব্যবহার, ভোট ডাকাতি করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো চিহ্নিত করে ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগভাবে সেইসব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অপসারণ করতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা স্বপদে বহালের দাবি জানান।