ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বার্তা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ২৪ অক্টোবর সকালে এটি বঙ্গোপসাগরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। রবিবার এক সতর্কতাবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইএমডি। সংস্থাটি বলেছে, ২২ অক্টোবর সকালে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৪ অক্টোবর পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ওইদিন সকালেই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে।
সংস্থাটি শনিবারের সতর্কবার্তায় জানায়, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর উত্তাল ও ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ এবং ঝড়ো হাওয়ার গতি ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অপরদিকে বঙ্গোপসাগর ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তাল ও সেখানে ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকতে পারে।
ওই সময় বাতাসের গতি ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর, ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। এছাড়া জাহাজ, বন্দর, সাগর ও উপকূলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানলে এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। পাশাপাশি এটি যদি প্রতিবেশী দেশটির উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানে তবে এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। অন্যদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ দেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে আঘাত করলে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে। পাশাপাশি এটি বরিশাল বিভাগের উপকূলে আঘাত হানলে বাতাসের একটানা গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আঘাত হানলে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভব্য উচ্চতা সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল। তিনি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলায় জোয়ারের সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেশি ও ভাটার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলায় জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বেশি ও ভাটার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
অন্যদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি এবং ভাটার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া কক্সবাজারে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি ও ভাটার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৩ ফুট বেশি জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।