জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধের তথ্য চেয়ে তদন্ত সংস্থার গণবিজ্ঞপ্তি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের সময় সংঘটিত অপরাধের তথ্য চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দল ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ উঠেছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে সংগঠিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর জখম, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য, ডকুমেন্ট, ছবি, অডিও/ভিডিও ক্লিপ থাকলে তা তদন্তের স্বার্থে সরবরাহ করতে সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থাটি এ সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে চাইলে যোগাযোগের ইমেইল ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহকারীদের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
অপরাধগুলোর তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত অপরাধের তদন্ত শুরু হবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত সংস্থার হাতে এসেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে তা কার্যকর হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর মো. মাজহারুল হক (অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি) গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন যে, তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ জমা দেয়ার জন্য ০১৭১১-৯০৫৬০৩ এবং ০১৬১১-৯০৫৬০৩ নাম্বারে (অফিস চলাকালীন সময়ে) যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়াও, ধানমন্ডির অফিসে সরাসরি তথ্য জমা দেওয়ার সুযোগও রয়েছে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন কী সম্ভব
তদন্ত কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত সংস্থাকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। সংস্থার সদস্যরা হলেন- মো. আলমগীর, মোহা. মনিরুল ইসলাম, সৈয়দ আবদুর রউফ, মো. ইউনুছ, মো. মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মদ আলমগীর সরকার এবং মো. মশিউর রহমান।
গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। এর অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রসিকিউশন টিমে আরো রয়েছেন মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান এবং মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।
এই তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রমের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালের এ কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।