সুপারশপে নিষিদ্ধ পলিথিন, পাটের ব্যাগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ২০০২ সালে পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। তবে, সম্প্রতি সুপারশপগুলোতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে, যা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেক ক্রেতা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কিছু ক্রেতা পাটের ব্যাগ কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপে পাট, কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার শুরু হয়েছে। এসব ব্যাগের দামও আলাদা করে দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যেমন, উত্তরার একটি সুপারশপের সিনিয়র ম্যানেজার জানিয়েছেন, ক্রেতাদের জন্য পাটের ব্যাগের দাম ছয় টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত। যদিও শুরুর দিকে কিছু ক্রেতা ব্যাগের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে আপত্তি করেছেন, তবে ক্রমেই তারা এই নতুন ব্যবস্থা মেনে নিচ্ছেন। বেশ কিছু সুপারশপ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
এছাড়া, পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহার সুপারশপগুলোতে প্রচলিত হলেও, খোলা বাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়া এখনো বাকি। আগামী ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারেও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিবেশবিদরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ যদি সফলভাবে কার্যকর হয়, তাহলে পরিবেশের ক্ষতি কমবে এবং একদিন পলিথিনের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পলিথিনের ব্যবহার রোধ করা সম্ভব হয়নি, যার জন্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। তবে, এখন যেহেতু আইন কার্যকর করা হচ্ছে, তাই পুরোপুরি পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সরকারের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মো. ফজলুল হক জানিয়েছেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব হবে না। তাই সকলকে সচেতন হতে হবে এবং বিকল্প হিসেবে সুলভ দামে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।