ইমিগ্রেশনে আটকে দেয়ার বিষয়ে মুখ খুললেন আজহারী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম

জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে সপ্তাহখানিক থেকে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তবে মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে দেয়ার খবর জানা যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেশটির স্থানীয় সময় রাত ২টার পর তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।
এবার ইমিগ্রেশনে আটকে দেয়ার ঘটনা নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন মাওলানা আজহারী। আরো আহ্বান জানিয়েছেন, এ ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে। শনিবার (১২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান, ‘মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন’।
আজহারীকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে বিমানবন্দরের ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আজহারীর বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ এখনও দেশটির ইমিগ্রেশন সার্ভারে রয়ে গেছে। এ কারণে তাকে আটকে দেয় পুলিশ।
আরো পড়ুন: সমুদ্রপথে হজে গেলে খরচ ৪০ শতাংশ কম পড়বে
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। এরই মধ্যে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
আজহারী আরো লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারো দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।