বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেপ্টেম্বর মাসে ২৪১ জন চোরাকারবারি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৯৮ জন বাংলাদেশী ও ২৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে। একই সময় মায়ানমার সীমান্তে অনুপ্রবেশকালে ১ হাজার ৬২১ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি বন্দুক জাতীয় অস্ত্র, ১০টি ককটেল ও ৭ রাউন্ড গুলি।

রবিবার (৬ অক্টোবর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়, জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্য ও পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ২৬ কেজি ৭৫৩ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ কেজি ৯৯৩ গ্রাম সাপের বিষ, ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮২টি কসমেটিকস সামগ্রী, ২৫ হাজার ৪৪২টি শাড়ী, ১১ হাজার ৬২০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরী পোশাক, ৪০ হাজার ১৬ মিটার থান কাপড়, ১ হাজার ৯৭৮ ঘনফুট কাঠ, ২৪ হাজার ৬৬৭ কেজি চা পাতা, ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫০ কেজি চিনি, ৪ হাজার ৪১ কেজি সার, ১ লাখ ১১ হাজার ৯৮০ ঘনফুট কয়লা, ১২ হাজার ৯০০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১ হাজার ৯৬০টি চশমা, ৩০ হাজার ৬৮৭ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৪৫ হাজার ৬১২ কেজি সুপারি, ২৮ হাজার ৪১৬ কেজি মাছ, ৩ হাজার ৭৭৪ কেজি পিয়াজ, ৩৭ হাজার ৬১৭ কেজি রসুন, ৪ হাজার ৬০৪ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১৭টি পিকআপ, ৭টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৮টি ট্রলি, ১৯১টি নৌকা, ২১টি সিএনজি/ইজিবাইক, ১০৮টি মোটরসাইকেল এবং ২১টি বাইসাইকেল।  

আরো পড়ুন: ইলিশের দাম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ জানা গেলো

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪১ জন চোরাকারবারি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৯৮ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ২৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৬২১ জন মায়ানমার নাগরিককে মায়ানমার সীমান্ত থেকে আটকের পর সবাইকে আবার মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করেছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১২ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৬ কেজি ৮৭৪ গ্রাম হেরোইন, ২৯ হাজার ১৬৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ৬৩৮ বোতল বিদেশী মদ, ১৩৭ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৩৪৭ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯৯৮ কেজি গাঁজা, ৮৯ হাজার ৪৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২ লাখ ৬২ হাজার ৭০১টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ৭৭২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২৫ কেজি ৪৪৪ গ্রাম কোকেন, ৬৩০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৮০টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৮৪ লাখ ৯ হাজার ৪৮০টি এ্যানগ্রো/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩ বোতল এলএসডি এবং ৩৮ হাজার ৬৫৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।