সুলতান মনসুর ও সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর কারাগারে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০১ পিএম

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম
পৃথক দুই মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা ও যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেদিন তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নুর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে কানাডা থেকে ঢাকায় নামলে তাকে ইমিগ্রেশন থেকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগের একমাত্র সভাপতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে সুলতান মনসুর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এছাড়াও ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আব্দুল মোতালিব (১৪) নামের এক কিশোর হত্যার মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১ অক্টোবর তাকে আদালতে উপস্থিত করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে রিমান্ডে নেয়া মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন আব্দুল মোতালিব (১৪)। আন্দোলনে থাকা অবস্থায় তার বুক ও গলায় গুলি লাগে। এতে মারা যান মোতালিব। এ ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট আব্দুল মোতালিবের বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।