সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৯ এএম

ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একরামুল করিমসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে শ্রমিক দলের কর্মী মো. খোকনকে (২৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামলাটি করা হয়।
মুনিম ফেরদৌস বলেন, মামলার বাদী নিহত খোকনের বাবা মফিজুল হক। আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ১৭ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কিছু দিন আগেও তার কথার বাইরে এলাকায় কিছুই হতো না। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, চারবারের এমপি একরামুল গত ১৫ বছরে অনিয়ম-দুর্নীতি করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। কাগজে-কলমে ৩২ কোটি টাকার সম্পদ থাকার কথা তিনি বলে আসলেও তার সম্পদ শতকোটি টাকার ওপরে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নোয়াখালীর কবিরহাট ও সুবর্ণচরের বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধি ছিলেন একরামুল করিম চৌধুরীর স্বজন। তার স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলি ছিলেন কবিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান। ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন সবশেষ নির্বাচনে।
একরামুল করিম চৌধুরীর ভাগনে জহিরুল হক রায়হান ১৫ বছর ছিলেন পৌর মেয়র। আর ভাই হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াস ছিলেন সুন্দলপুরের ইউপি চেয়ারম্যান। আরেক ভাই হাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
একরামুল করিম চৌধুরীর ভাগনে জহিরুল হক রায়হান এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। যদিও বছর কয়েক আগে তিনি ছিলেন পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। এভাবে নোয়াখালীর রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন একরামুল, কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন দলের অন্য নেতারা।