×

জাতীয়

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জো বাইডেন

   

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিইউয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস। 

এই সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখা হচ্ছে না। তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন স্বীকারও করেছেন, ভারতের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে। জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে দুদেশের টানাপড়েন কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করা হবে। 

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক হতে যাচ্ছে। এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের যোগদান উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, ওই অধিবেশনে যোগ দিতে ড. ইউনূস ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। 

নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেখা হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, তাদের দুজনের নিউইয়র্কে উপস্থিতি এক সঙ্গে হচ্ছে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক থেকে আগে চলে আসছেন; আর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একটু পরে যাচ্ছেন। কাজেই তাদের সেখানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লিখিত বক্তৃতায় বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবার বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের প্রতিনিধি দল ভাড়া করা উড়োজাহাজে নিউইয়র্ক সফর করবে না বরং যার যেই সংশ্লিষ্টতা বা দায়িত্ব, সে অনুযায়ী যতটা সম্ভব সীমিত আকারে প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আমি আমার দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের সভাগুলোতে অংশ নেয়ার জন্য দুই দিন আগে ভিন্ন একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কে যাব। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা তিন দিন নিউইয়র্কে অবস্থান করে সফর শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এ বছরই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ একটি উচ্চপর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করছে। এ সময় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের প্রধানদের পাশাপাশি জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, কয়েকটি দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য দেবেন বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেই ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা গত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতা, উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদ পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির টেকসই হস্তান্তর এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়গুলো তার বক্তব্যে উঠে আসতে পারে।

বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা অব্যাহত থাকবে : শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অস্বস্তিকর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ভারতের। কিন্তু আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। এ বিষয়ে ভারতের যেমন কোনো অপশন নেই, তেমনই বাংলাদেশেরও কোনো অপশন নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য ভারত ভালোভাবে নেয়নি এবং সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হচ্ছে না- মিডিয়ায় প্রকাশিত এ ধরনের রিপোর্টের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তৌহিদ হোসেন বলেন, অনেক কথা আমাদেরও পছন্দ নাও হতে পারে। কাজেই আমার কথা তার পছন্দ হলো না, বা তার কথা আমার পছন্দ হলো না- এটি নিয়ে বেশি বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিষয়টি এমন নয়- এ জন্য বাংলাদেশ ভারত থেকে বহু দূরে যাবে। আবার ভারতও অন্য কোথাও চলে যাবে এবং প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে না। প্রতিবেশী যেহেতু পরিবর্তন হয় না, কাজেই কথা পছন্দ হোক বা না হোক- ভারত থেকেও বিভিন্ন সময়ে অগ্রহণযোগ্য কথাবার্তা হয়েছে। এজন্য আমার মনে হয়, এ বিষয়টিতে এত গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। শুধু এ কারণে তিনি (মোদি) দেখা করবেন না, বা দেখা হচ্ছে না। দ্বিপক্ষীয় অনেক বিষয় আছে এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা বজায় রাখতেই হবে। এটি নিয়ে ভারতেরও কোনো অপশন নেই, আমাদেরও কোনো অপশন নেই, বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তবে নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক হবে। তৌহিদ হোসেন বলেন, জয়শংকরের সঙ্গে আমাদের দেখা হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে যে এক ধরনের টানাপড়েন চলছে, এটা স্বীকার করতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হলে, সমস্যার অস্তিত্ব অস্বীকার করলে চলবে না। আমরা অবশ্যই টানাপড়েন পেছনে ফেলতে চেষ্টা করব এবং ওয়ার্কিং রিলেশন যেন হয়। তবে সম্পর্কটা হতে হবে সার্বভৌমত্ব, মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। এর ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া সম্ভব এবং আমরা সেই চেষ্টা করব।

এদিকে ভারতের বহুল প্রচারিত হিন্দি ভাষার দৈনিক জাগরণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে তাদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক হতে যাচ্ছে। বৈঠকটির সূচি চূড়ান্ত করতে দুই দেশ এখন কাজ করছে। 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৈঠকে জয়শঙ্কর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত অত্যাচারের বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে দিল্লির কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন দুজনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও ঢাকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে দিল্লিকে কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি। শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ওই সময় ভারতীয় মিডিয়ায় এ নিয়ে অসংখ্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে এ নিয়ে প্রতিবেদন করারও আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টার : ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার পর ওই দিনই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোন কোন দেশের এবং কোন কোন সংস্থার প্রতিনিধির বৈঠক হবে, সে বিষয়টিও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অবহিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। 

নিউ ইয়র্ক সফরকালে কাদের সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টার, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, ইউএসএআইডির প্রশাসকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া আরো কিছু পাইপলাইনে আছে এবং এটি আমরা পরে জানাতে পারব। 

কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের ক্ষমতাগ্রহণের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা হবে। আমাদের যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো নিয়ে কথা হবে। এখানে যেসব সংস্কার হবে সেটি তাদের অবহিত করবেন। আমরা এরই মধ্যে মানবাধিকার নিয়ে যে অগ্রগ্রতি অর্জন করেছি, সেটিও জানাবেন। আমরা ইতোমধ্যে একটি মানবাধিকার কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হয়েছি। এছাড়া মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কথা হবে। আমরা দেশে যে খোলামেলা পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি বা করেছি, তাতে করে যে কেউ মানবাধিকার ইস্যু তুলতে পারেন এবং এ ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানে তৎপর থাকবে, সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন এবং দিয়ে থাকবেন। দ্বিপক্ষীয় যেসব বৈঠক আছে সেখানে, সেসব বিষয়ে কথা হবে। তবে কোনোটাই বেশি গভীরে যাবেন না। কারণ এসব বৈঠক ১৫ থেকে ২০ মিনিটের হয়ে থাকে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

৫৭ জনের প্রতিনিধি দল : রাজনৈতিক সরকারের আমলে সাধারণ অধিবেশনে বড় প্রতিনিধি দল যেত। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে বড় প্রতিনিধি দল কেন যেত, সেটি আমি বলতে পারব না। আমি জানি না। কিন্তু বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যয় সংকোচন করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় খরচ করা যাবে না। ৭৩তম ও ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ৩৪৪ ও ৩৩৫ ব্যক্তি গিয়েছিলেন। কোভিডের কারণে ৭৫তম অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কোভিডের সীমাবদ্ধতার মাঝেও ৭৬তম অধিবেশনে ১০৮ জন এবং ৭৭তম অধিবেশনে ১৩৮ জন এবং ৭৮তম অধিবেশনে গিয়েছিলেন ১৪৬ জন। এবার নিরাপত্তা, গণমাধ্যমসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকছেন ৫৭ জন বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App