×

জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতের সংখ্যা জানা গেল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতের সংখ্যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

   

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে নিহত ও আহতের সংখ্যা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এমআইএস শাখা। আন্দোলনে সারাদেশে অন্তত ৬৩১ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ। আন্দোলন শুরুর পর গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত হতাহতের এই তথ্য সঙ্কলিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিবেদনে। সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে করা এ তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৫০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে মৃত অবস্থায়। বাকি ১৮১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে জুলাইয়ের শুরুতে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, তা তীব্র আকার ধারণ করে ১৫ জুলাইয়ের পর। ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো ৫ জন নিহত হন।

আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে সহিংসতা। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এই আন্দোলনে হতাহতদের তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ অগাস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির এই কমিটির প্রধান। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা তালিকাটি তৈরি করে। কমিটি বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির সোমবার বলেন, আহতদের মধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্তত তিন হাজার জন চিকিৎসা নিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এটি প্রাথমিক তালিকা, সংখ্যাটি নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে। 

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনের সময় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৪৭৭ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩৯ জন, বরিশাল বিভাগে একজন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যেও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি, ১১ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে আহতের সংখ্যা দুই হাজার। আহত হয়ে যারা হাসপাতালে গেছেন, তাদের তিন হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর, তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। কমপক্ষে ৫৩৫ জন তাদের আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন।

মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরি এবং তাদের সরকারি সহায়তা দেয়ার জন্য নীতিমালা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের। তারা কাজ শুরু করেন ১৮ অগাস্ট। তালিকার কাজ এখনো চলছে। আমাদের সোর্স ছিল হাসপাতালগুলো। এর বাইরের তথ্যও আমরা নিয়েছি, কিন্তু সেটা কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভেরিফাই করে। নীতিমালাটি কেমন হওয়া উচিত সেটার ওপর আমরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। আন্দোলনের শুরুতে মামলার ভয়সহ নানা কারণে নিহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে কম। এ কারণে মৃতের মোট সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

টাইমলাইন: কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App