বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, তরুণরাই ভবিষ্যৎ: ড. ইফতেখারুজ্জামান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম

দেশসেবা লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল লক্ষ্যে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে তা একেবারে অসম্ভবও নয়। তরুণ প্রজন্মই এই আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে, এবং তারা দেশকে একটি বৈষম্যহীন সমাজে রূপান্তরিত করবে। মেই সমাজেসবার সমান অধিকার নিশ্চিত হবে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘এইচ অ্যান্ড এইচ ফাউন্ডেশন’ এবং ‘পাবলিক স্পিকিং অফিসিয়াল’-এর যৌথ আয়োজনে এসএস গ্রুপ প্রেজেন্টস ‘দেশসেবা লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ১৪টি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও ৫৪ স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে সম্মানিত করা হয়। বিশেষ করে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এবং বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ, শিশু খাদ্য ও মেডিকেল সামগ্রী প্রদানে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতির পরাজয় দেখেছি, যেখানে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়া হয়েছিল। প্রশাসনে দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের কারণে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। তরুণদের এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই বিরল এক বিপ্লব, যা আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. জামিল আহমেদ বলেন, তরুণ প্রজন্ম তাদের দায়িত্ববোধ থেকে রাস্তায় নেমেছে, কেউ তাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশ দেয়নি। তাদের এই সাহসী ভূমিকা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের তরুণ সমাজ দক্ষতার সঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। আজকে তাদের কাজের স্বীকৃতি জাতির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি একটি সামান্য সম্মাননা। ভবিষ্যতে জাতির যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের আরো একত্রিত হতে হবে।
আরো পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে কাঁদলেন ড. ইউনূস
অনুষ্ঠানে অডিও বক্তব্য রাখেন ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ভিডিও বক্তব্য দেন লুটন, যুক্তরাজ্যের জাতিসংঘ সমিতির সেক্রেটারি ড. ডেভিড চিজম্যান।
অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ছিল এসএস গ্রুপ, পরিচালনা করেন এম. সাফাক হোসেন এবং ফাউন্ডার মো. সোলায়মান আহমেদ জিসান।