পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরাতে মালিক সমিতির উদ্যোগ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পরিবহন সেক্টর চাঁদা মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, নিরাপদ যাত্রীবান্ধব ও সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানামূখী উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সব সড়ক থেকে সব ধরনের চাঁদা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে আর পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মালিক সমিতির নব গঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ বাতেন, রফিকুল হোসেন কাজল, আক্তারুজ্জামান বাবলু, এএসএম আহমেদ খোকন, সদস্য মো. সাইদুর রহমান (বাবু) সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: রাষ্ট্রদূতসহ ২৪ কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান পরিবহন ব্যবসায়ী সাইফুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও যাত্রীবান্ধব পরিবহন সেবা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ সড়ক গড়ার লক্ষ্যে কমিটি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়জ্যেষ্ঠ্য যাত্রীদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে মালিক/শ্রমিক ও প্রশাসনের সহযোগীতায় চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জনকল্যানমুখী নিরাপদ সড়ক গড়ার প্রত্যয়ে সব বাস টার্মিনালে চালক-শ্রমিকদের নিয়মিত কাউন্সিলিং/ মোটিভেশন সভা করা হবে। ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ে করে কমিউনিটি ট্রাফিক নিয়োগের মাধ্যমে টার্মিনালের সামনের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও পয়েন্টে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সব ধরনের চাঁদা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই মিলে বিগত দিনের অনিয়ম দূর করে জনবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত সড়ক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য বিরাজমান ছিলো। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পালিয়েছে এবং আত্মগোপন করেছে। এতে সড়ক পরিবহনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় মালিক, শ্রমিক ও চালকদের সমন্বয়ে তলবি সভা আহ্বান করে ৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। কমিটির পক্ষ থেকে আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা চিরস্থায়ী করার জন্যও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।