ফারাক্কার গেট খোলা নিয়ে যে বক্তব্য দিলো ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩১ পিএম

ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত।
বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার (২৬ আগস্ট) এসব গেট খুলে দেয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো।
সোমবার ফারাক্কা ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে এ নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, আমরা ফারাক্কা ব্যারাজের গেট খোলা হয়েছে বলে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি। এসব রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে গঙ্গা/পদ্মা নদীতে প্রাকৃতিক গতিপথে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে। এটি একটি স্বাভাবিক ও মৌসুমগত ঘটনা। উজানে গঙ্গা নদীর অববাহিকার ক্যাচমেন্ট (নদীর পাশে) এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত থেকে প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ঘটে থাকে।
ফারাক্কা একটি ব্যারেজ উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বুঝতে হবে ফারাক্কা বাঁধ নয়। পানির স্তর ওপরে উঠে গেলে এটি প্রবাহিত হতে থাকে। ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরানোর জন্য এটি নিছক একটি কাঠামো। প্রধান গঙ্গা/পদ্মা নদীর ওপরের গেটগুলোর একটি সিস্টেম ব্যবহার করে সাবধানতার সঙ্গে করা হয়।
যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে প্রটোকল অনুযায়ী ফারাক্কার সব ডেটা বাংলাদেশকে সরবরাহ করা হয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, এবারো এমন করা হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে ভুয়া ভিডিও, গুজব ও বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে আসলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আসল তথ্য জেনে এগুলো বলা দরকার।
বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ফারাক্কা ব্যারেজের গেট আগে থেকেই খোলা ছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। এবার এসব প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুলল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন : ফারাক্কার গেট খোলায় বন্যা ঝুঁকিতে যেসব জেলা