ফারাক্কার গেট খোলায় বন্যা ঝুঁকিতে যেসব জেলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম

ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত।
বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার (২৬ আগস্ট) এসব গেট খুলে দেয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো।
জানা গেছে, ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধে পানির অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি হওয়ায় তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে প্রবল বন্যার কারণে পানির চাপ বেড়েছে। যদিও এখনো নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। বর্তমানে ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে বাধ্য হয়ে গেট খোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলে পানি বাড়ানো হয়েছে।
ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেন, আমরা সবসময় এলার্ট রয়েছি। প্রতিমুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক পানির চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যারেজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। এতে বিশাল ক্ষতি হতো। তাই ১০৯ গেটের সবকটি খুলে দেয়া হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।
এদিকে ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৭ লাখেরও বেশি মানুষ। সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন : এবার ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলে দিলো ভারত