বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে বৈষম্য মুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী ও কলাকুশলীদের চাকুরীতে পদোন্নতিসহ নান বৈষম্য নিরসনে দাবি জানানো হয়েছে।
এ উপলক্ষে সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ বেতারের আগারগাঁও কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে সকলের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা,কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলীবৃন্দ। মানববন্ধনে তারা বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনে তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশে স্বপ্ন যাত্রায় গর্বিত অংশীদার হতে বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দাবিসমূহ হলো-
- বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করা
- ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপ সচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা
- নন ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি বাতিল করে পুনঃসংশোধন করা
- বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেতারের নবম, ১৩তম এম ১৫তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো চতুর্থ গ্রেডে আছেন। এছাড়া, ২৪তম ব্যাচ থেকে ২৭তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো ৬ষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন যাদের অধিকাংশ ইতোমধ্যে ১৪ বছর অধিক সময় পার করেছেন। ২৮তম বিসিএস-এর নবম গ্রেডের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রায় ৮ থেকে ১৮ বচর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।
বিসিএস তথ্য ক্যাডারে ৪টি সাব ক্যাডার রয়েছে। উপ সচিব পদে আবেদন প্রেরণের ক্ষেত্রে এ ৪টি সাব ক্যাডারের মধ্যে একটি সাব ক্যাডার গণযোগাযোগ/পিআইডি থেকে ১৩৬টি ভিত্তি পদের বিপরীতে প্রতি বছর ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয়। অথচ নিদারুণ বৈষম্যের নজির স্থাপন করে বাংলাদেশ বেতারের বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ৩টি সাব ক্যাডার থেকে ৩২টি পদ ভিত্তিক পদের বিপরীতে অযৌক্তিকভাবে মাত্র ১০টি আবেদন গ্রহণ করা হয়।
আরো পড়ুন: বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসের পদত্যাগ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য জাতীয় গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ বেতারের চলমান বৈষম্য নিরসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করা হলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল যে লক্ষ তা বাস্তবায়িত হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিসমূহ শীঘ্রই পূরণ করবে বলে মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।