সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম। এতে শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্ততা করেন।

সম্প্রতি এ নিয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার খরচ ধরা হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। এই বাজেট থেকে শেখ হাসিনাকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাটি।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাগ্নি টিউলিপের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন। মধ্যস্থতার বিনিময়ে টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন।

২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও ছিলেন। এ নিয়ে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন টিউলিপ।

২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামেও তাদের একটি কোম্পানি রয়েছে।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এই কোম্পানির মাধ্যমেই অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা। কোম্পানিটি ডেসটিনি গ্রুপ নামে একটি চিটিং ফান্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।