আমাদেরকে দেশবাসীর কাছে ভিলেনে রূপান্তরিত করা হয়েছে: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১০ পিএম

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: সংগৃহীত
স্বৈরাচার উৎখাত করার জন্য সবাইকে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে । মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস রিলিজটিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সৈনিকদের অভিনন্দন জানাই দেশ থেকে স্বৈরাচার উৎখাত করার জন্য। পাশাপাশি আন্দোলনে নিহত প্রতিটি ছাত্রের রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরাও চাকুরি জীবনে বৈষম্যের শিকার। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে। তাই আজ কথা বলার সুযোগ পেয়ে আবারো সকল ছাত্র জনতাকে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- সারাদেশে শত শত পুলিশ ইতোমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এগুলো কোনো ছাত্রদের কাজ নয়। নিঃসন্দেহে কোন দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। দেশবাসী আমাদেরকে অর্থাৎ পেশাগত বাহিনী পুলিশকে তাদের শত্রু মনে করে। আমরা পুলিশ জনগণের সেবক।
বলা হয়, রাষ্ট্র যে আইন তৈরি করে তা বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রয়োগ করে থাকে এবং আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে জনসাধারণের সাথে রোষের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতপক্ষে আমরা নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিন্মপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক, যেকোনো আদেশই পালন করতে হয়।
সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি অভিযোগ তুলে অধস্তন কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের অফিসাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ে দুষ্ট। বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যেকোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য। আমাদেরকে দেশবাসীর কাছে ভিলেনে রূপান্তরিত করা হয়। আমরা কোটা সংস্কারের মতো পুলিশ বাহিনীরও সংস্কার চাই।
আরো পড়ুন: মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া
তারা বলেন, আমরা আপনাদের সাথে মিলেমিশে থাকতে চাই, কোনোভাবেই বৈরিতায় জড়াতে চাই না। পুলিশ বাহিনী হিসেবে নিরীহ ছাত্রদের সাথে যে অন্যায় করেছে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্য আপনাদেরই কারও না কারও ভাই-বোন-বন্ধু-বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজন। আমরাও আপনাদের সমাজেরই অংশ। দেশের যে কোনো বিপদে অতীতের মতোই আপনাদের পাশে পাবেন।