সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার ডাক দেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১ টায় এ সভার আয়োজন করা হয়। 

সেতুমন্ত্রীর ডাকা ওই সভায় বেলা ১১টার আগেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে শুরু করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সভাস্থলে উপস্থিত হন ওবায়দুল কাদের। এসময়ে কয়েকশ ছাত্রনেতা সভাস্থলে বসে ছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা মতবিনিময় না করেই গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এতে ক্ষুব্ধ হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। প্রথমে তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে শুরু করলেও পরে তা হট্টগোলে রূপ নেয়। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় নিজের ছেলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্ট নিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্ট হয় সভায়। এসময় সাবেক ছাত্র নেতারা ‘আপনি এখানে কেন’-প্রশ্ন তুলে হই-হুল্লোড় শুরু করেন।

উল্লেখ্য, ড. আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে রেজুয়ান শাহরিয়ার সুমিত সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলন ইস্যুতে ফেসবুকে ছাত্রলীগকে আক্রমণ করে গত ১৭ জুলাই পোস্ট করেন।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘এরা (ছাত্রলীগ) বুক ফুলিয়ে যতই ‘জয় বাংলা’ বলে চেঁচাক, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ এর আজকের এই ছাত্রলীগের কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আজ এরা চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, অর্থলোভী পঙ্গপাল ছাড়া কিছুই নয়। আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে এই পঙ্গপাল বাহিনী লেলিয়ে দেয়া কোন আদর্শের রাজনীতি- আমি জানি না, তবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বা দর্শনের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই, তা ঢের বলতে পারি। এই পঙ্গপাল পুষতে পুষতে কবে গোটা জাতিই চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, ও অর্থলোভী হয়ে যায়!’

পরে ওই স্ট্যাট্যাসে সুমিত, কবি শামসুর রাহমানের একটি কবিতার লাইন জুড়ে দেন- ‘রাজু, তুমি মেধার রশ্মি-ঝরানো চোখ মেলে তাকাও তোমার জাগরণ আমাদের প্রাণের স্পন্দনের মতোই প্রয়োজন।’

এদিকে সুমিতের ফেসবুক আইডিতে গিয়ে ছাত্রলীগবিরোধী পোস্টটি পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্ট্যাট্যাসটি দেয়ার পর ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন তিনি। তবে স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।