ধর্মীয় উগ্রবাদে জার্মানির সহানুভূতি নেই
জাতিসংঘের সহায়তা নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন : প্রধানমন্ত্রী

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম

গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি : ভোরের কাগজ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনা সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেবে সরকার। এ লক্ষ্যে গঠিত হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের যে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদেরকে সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চ মানের হয় এ জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেয়া হবে।
তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রানহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।
জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে ও তাদের বিচার হবে। যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।
নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানীর ঘটনায় বাংলাদেশ যে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।
আরো পড়ুন : সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত: হাইকোর্ট
জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।
দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব ও জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল; প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।
ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদুত বলেছেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।