কত দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম

ছবি ; সংগৃহীত
আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন একটা সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এ আন্দোলনে আমরা বর্বরতা দেখেছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই কারফিউ দেয়া হয়েছে। এ কারণেই জঙ্গি উত্থান ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে এ আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। আমরা অপরাধীদের একে একে চিহ্নিত করব। আন্দোলনের নামে কারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে আপনারা সেটা জানেন। এটা সেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর দেশে পরিণত করার জন্য যারা ইন্ধন দিয়েছে তারা ছাত্রদের বাদ দিয়ে নিজেরাই সামনে নেমে এসেছিল।
আন্দোলনকারীদের সবগুলো দাবি মেনে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি পুলিশকে টার্গেট করে তারা হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সদস্যকে মেরে ফাঁসি দিয়ে গাছে টানিয়ে রেখেছে। এ চিত্র আপনারা দেখেছেন। আপনারা দেখেছেন বাংলা ভাই যে জঙ্গিবাদের উত্থান করেছিল, এই জামায়াত-বিএনপিও একই কাজ করেছে।
তিনি বলেন, জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারাই যখন বলবেন, আমরা স্বস্তি অনুভব করছি, তখনই কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।
আরো পড়ুন : সাঁড়াশি অভিযানে ১৬৩০ জন গ্রেপ্তার
সম্প্রতি কোটা আন্দোলন চলাকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত তিন পুলিশ সদস্য ও এক আনসার সদস্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা নগদ ও ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় তিনি নিহতদের স্বজনদের উদ্দেশ করে বলেন,‘আপনারা কখনো একা অনুভব করবেন না। আপনাদের পাশে সরকার আছে, দেশ আছে। আপনাদের যে কোনো সহযোগিতার জন্য সরকার প্রস্তুত আছে। আমি শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আপনাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী কিংবা সাধারণ জনগণ কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণ কতজন মারা গেছেন, তার কোনো হিসাব আমাদের কাছে নেই। কোনো থানায় এ সংক্রান্ত কোনো মামলাও দায়ের হয়নি। পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে, এ বিষয়ে পরে বলা যাবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কয়েকজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নাই। তাদের পরিবার থেকেও আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। তারা অভিযোগ করলে আমরা আপনাদের জানাতে পারব।
এরইমধ্যে আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে চার্জশিট দায়ের হোক। মামলার মেরিট দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।