নির্বাচনী বিধি
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে লাগবে না ভোটারদের স্বাক্ষর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আগামী জানুয়ারি মাসে রাজধানীর দুই (উত্তর-দক্ষিণ) সিটির ভোট। ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সিটি করপোরেশন বিধি ও আচরণবিধিতে আমূল সংস্কার আনতে যাচ্ছে এ সাংবিধানিক সংস্থাটি। দলীয় ও স্বতন্ত্রদের মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে যে বিভাজন ছিল, তা বাদ দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর যুক্ত করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হতো। সংশোধিত বিধিমালায় বিধানটি বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইসি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ইসি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবিত বিধিগুলো আগামী ডিসেম্বরের আগেই চূড়ান্ত করে আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রয়োগ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আরো কিছু বিধির অসঙ্গতিও দূর করতে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি হচ্ছে।
সিটিতে ভোটারের সংখ্যানুপাতে ব্যয়সীমা ও ব্যক্তিগত ব্যয় করতে হয় মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের। বর্তমান বিধানে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে যত ভোটার থাকুক না কেনো, জামানত ১০ হাজার টাকা, নির্বাচনী ব্যয় ৬ লাখ টাকা এবং ব্যক্তিগত ব্যয় ৫০ হাজার টাকা। আর মেয়র পদের প্রার্থীদের জন্য ১ লাখ টাকা জামানত, ২ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ব্যয় এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয়। কমিশন এ বিধান রহিত করে নতুন করে জামানত ও ব্যয়সীমা নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আরো পড়ুন: মতিউর ও তার পরিবারের ১১৬ ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী বিধিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হবে। এবারের দুই সিটির নির্বাচন ব্যালট পেপার নাকি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হবে সে বিষয়ে তফসিল ঘোষণার আগে সিদ্ধান্ত নেবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
তিনি জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা রয়েছে। এপ্রিলে হওয়ার কথা এইচএসসি পরীক্ষা। তাই এসএসসি পরীক্ষার আগেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে চান ইসি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বা শেষ সপ্তাহে দুই সিটি নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়সীমা ধরেই নির্বাচন আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের জন্য এখনো পর্যাপ্ত সময় আছে। সময়মতো নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। আর আইন অনুযায়ী করপোরেশনের প্রথম বৈঠক থেকে এর মেয়াদ গণনা শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের ২ জুন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৩ জুন। সেই হিসাবে ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনী ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে। আর দক্ষিণ সিটির ক্ষণগণনা শুরু হবে ৫ ডিসেম্বর। দুই সিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১ ও ২ জুন। দিন গণনার শুরুর দিন থেকে যে কোনো দিন ভোট করতে পারবে ইসি।