সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করেছেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন। ফলে এখানকার এলাকার সবগুলো প্রধান ও শাখা সড়ক বন্ধ হয়ে, তৈরি হয়েছে যানজট।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসময় কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তারা স্লোগান দেন, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’সহ বিভিন্ন স্লোগান।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ আদালতের রায়ে যদি কোটা বহাল রাখা হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন চলবে। কোটা কোনভাবেই ৫ শতাংশের বেশি নয়। মেধাভিত্তিক নিয়োগই তাদের একমাত্র দাবি। 

এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, বেশি নাম্বার পেয়েও আমরা নিয়োগ পাবো না, আর আরেকজন কম নাম্বার পেয়েও কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে যাবে এটি হতে দিতে পরি না। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে মেধার ভিত্তিতে হতে হবে, যাতে যোগ্যতম প্রার্থীরাই চাকরি পায়। হাইকোর্টের যে রায় দিয়েছে সেটি আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকতেও কোটা পদ্ধতি স্থায়ীভাবে বহাল হতে দেয়া হবে না।

আরো পড়ুন: দুদিনের সফর শেষে মস্কো ছাড়লেন মোদি

কোটা ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে রায় না এলে আন্দোলন চলমান থাকবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। 

তিনি বলেন, অন্যায় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আজ সড়কে অবস্থান করছে। আমরা কোটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কোটার মাধ্যমে বৈষম্য করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই আবেদনের শুনানি একসঙ্গে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।