হোটেল ‘সান মেরিনা’ নিয়ে আবেদ আলীর ফেসবুক পোস্ট, জমির মালিকের বক্তব্য

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন ‘সান মেরিনা’ হোটেলের অংশীদার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী। তিনি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান মীরের ছেলে। সোমবার (৮ জুলাই) সিআইডির এক অভিযানে বিসিএস পরীক্ষাসহ পিএসসির ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গত ১৮ মে সান মেরিনা হোটেল প্রসঙ্গে আবেদ তার ফেসবুক আইডিতে দেয়া ওই পোস্টে লেখেন, ‘ আজ আমাদের নতুন হোটেলের (সান মেরিনা) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। কুয়াকাটা সমুদ্রকন্যার পারে সারাজিবন নিজের একটা থাকার ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
আবেদ ওই ফেসবুক পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, সান মেরিনা নামের ওই হোটেলটি এখনো নির্মাণাধীন। লিবার্টি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মোশারফ হোসেন এ হোটেলটির মালিক । হোটেলটি নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতক জমি কেনেন তিনি।
সরেজমিনে সেখানে দেখা যায়, সান মেরিনা হোটেলের জায়গাটি খালি পড়ে আছে। নির্মাণাধীন ভবনের চারপাশে যেমন সীমানাপ্রাচীর দেয়া থাকে, স্থানটি ঠিক তেমনিভাবে প্রস্তুত করা অবস্থায় রয়েছ। এর সামনে টাঙানো একটি সাইনবোর্ডে লেখা, ‘হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা। শেয়ার বিক্রি চলিতেছে।’ সঙ্গে একটি হটলাইন নম্বর দেয়া আছে। এছাড়া জমিটির উল্টো দিকে সামনের অংশে শ্রমিকদের থাকার জন্য কিছু টিনশেড ঘর তৈরি করা আছে।
এ বিষয়ে মোশারফ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠিকাদার হিসেবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) সাবস্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইনের নিয়মিত কাজ করে থাকেন তিনি।
একপর্যায়ে সৈয়দ আবেদ আলীর ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশারফ হোসেন সান মেরিনা হোটেলের মূল মালিক হিসেবে দাবি করে বলেন, ‘গত দুই-তিন মাস আগে আবেদ আলী আমার হোটেলটির সামনে একটি হোটেলে এসে ওঠেন। পরদিন সকালে আমার হোটেলের জায়গায় গিয়ে শেয়ার ক্রয় করবেন বলে জানান। তখন আমার লোকের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিস্তারিত জেনে যান আবেদ। ওই পর্যন্তই যা। এছাড়া আমি কখনো তাকে দেখিওনি এবং চিনিও না।’
সবশেষে মোশারফ আরো যোগ করেন, ‘আবেদ আলীকে একজন টাউট প্রকৃতির লোক বলে মনে হয়েছে। আমি এ জন্য ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব।’