মতিউরের সঙ্গে সম্পর্ক: যেভাবে অঢেল সম্পদের মালিক আরজিনা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ছাগলকাণ্ডে ওএসডি রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আরেক এনবিআর কর্মকর্তা বান্ধবী আরজিনা খাতুন। বন্ধুর সহায়তায় তিনিও বানিয়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি, বাসায় বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং দামি সব আসবাবপত্র রয়েছে এই আরজিনা খাতুনের।
মাত্র তিন বছরে আরজিনা ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হয়েছেন। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা, দুদকের কাছে এসেছে এসব অভিযোগ। মতিউরের সঙ্গে আরজিনার কিছু ফোনালাপও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে গণমাধ্যমে।
আরজিনা বর্তমানে রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার ছিলেন তিনি। ১০ জুন তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের খতিয়ান তুলে ধরে দুদকে অভিযোগ জমা দেন এক ব্যক্তি। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানি লন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
আরো পড়ুন: এবার বান্ধবীর সঙ্গে মতিউরের অডিও ফাঁস, নতুন করে তোলপাড়
আরো পড়ুন: অবশেষে যা বললেন বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী
দুদকে জমা দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামে বদলির পর ২০২২ সালেই গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন ৫টি জমি। যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। সেসব জমির দলিলও পাওয়া গেছে। এছাড়াও গ্রামে আরো প্রায় এক কোটি টাকার জমি বন্ধক নিয়েছেন আরজিনা। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, আরজিনার ব্যবহৃত বেশিরভাগ গহনাই অনেক দামি। তার অন্তত ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের হীরার গহনা রয়েছে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি অন্তত ৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ডায়মন্ডের অলংকার নগদ টাকায় কিনেছেন। যার ২০০ ভরি এক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে আনার তথ্য ও দালিলিক প্রমাণ দুদকে করা অভিযোগের সঙ্গে জমা দেয়া হয়েছে।
২০২২ থেকে শেয়ার ব্যবসাও করেছেন তিনি। এক দিনে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগে দ্বিগুণ লাভের নজিরও আছে তার। তার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল নগদ টাকা ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগও আছে।
অভিযোগ আছে, মতিউরের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে দ্রুতই বাড়তে থাকে আরজিনার সম্পত্তির পরিমাণ। মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউজে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ ছিলো আরজিনার। অভিযোগ আছে, কারসাজি করে মতিউরই আরজিনাকে শেয়ার বাজারে মুনাফা তুলে দেন।
সম্প্রতি মতিউর-আরজিনার মোবাইল ফোনালাপের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। তাতে তাদের মধ্যকার স্পর্শকাতর অশ্লীল কথাবার্তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।