ছাগলকাণ্ড
অবশেষে যা বললেন বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত ছাগলকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলেছেন ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর উপজেলা পরিষদে এসেছেন বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে দুটি সভায় অংশ নেন তিনি। সভা শেষে তিনি ওই দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই গাড়িতে করে চলে যান।
তবে ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি, সব থেমে যাবে’ উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করার আগে লাকী এমন মন্তব্য করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় এতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।
আরো পড়ুন: কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১১ তদন্ত কমিটি
এ ঘটনার সাত দিন পর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের নিজ কক্ষে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের ডেকে কথা বলেন লাকী। এ সময় তার দেয়া বক্তব্যের ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে লাকীর সমর্থিত কিছু নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
লায়লা কানিজ লাকী বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আমি অফিসে এসেছিলাম এবং আমার অফিসের যেসব কাজকর্ম ছিলো, সে সব কিছু শেষ করে আমি যথারীতি কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে পরিষদ থেকে সোজা আমার নিজ গাড়িতে করে আমি অফিস ত্যাগ করি। কিন্তু সেদিন কে বা কারা সাংবাদিক ভাইদের একটা ভুল তথ্য দিয়েছেন যে আমি ঢাকার সব বড় বড় সাংবাদিকদেরকে ম্যানেজ করেই এখানে এসেছি। এটা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এ রকম কথা বলিনি। তাই যারা মিডিয়াকর্মী ও সাংবাদিকদেরকে এ রকম ভুল তথ্য দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে আপনারা সত্য তথ্য নিয়ে উপস্থাপন করবেন। আপনারা সমাজের দর্পণ। আমি আশা করব আপনারা সত্যটা প্রকাশ করবেন। আমি সবাইকে আবার বলছি আমি এ কথাটা বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ছিলো।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়লা কানিজ লাকী। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ছাগলকাণ্ডের পর তার নামে থাকা বিপুল সম্পদ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।