রপ্তানি বাড়াতে এয়ার-কার্গো সহজলভ্য করার দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৬:২১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ফল ও শাক-সবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত এয়ার-কার্গো চান রপ্তানিকারকরা। পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিমানের ভাড়া বা ফ্রেইট খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পচনশীল কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনে ডেডিকেটেড কার্গো ব্যবস্থা চালুর পক্ষেও মত দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন, ২০২৪) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফ্রূটস অ্যান্ড ভেজিটেবল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা এসব কথা বলেন।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনসুর। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডলার সংকট, বাড়তি বিমান ভাড়া, কাস্টমস এবং এইচএস কোড সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআই ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন: রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগই আসে পোশাক খাত থেকে
এসময় ফল ও শাক-সবজি আমদানি-রপ্তানিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং করণীয় নির্ধারণে কমিটির সদস্যবৃন্দের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ফল, শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য রপ্তাতিতে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশন হয়। সুতরাং এসব পণ্যের রপ্তানি বিঘ্নিত করা যাবে। রপ্তানি বাড়াতে বিমান ভাড়া, কার্ডো প্রাপ্তি, কাস্টমসসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি, উপযুক্ত পলিসি এবং নির্ভুল তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।
সভার উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফল ও শাক-সবজি রপ্তানির জটিলতা দূর করতে বিমানবন্দরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিনসহ কারিগরী সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ জানান কমিটির সদস্যবৃন্দ। এছাড়া, কৃষকের হাতের নাগালে আধুনিক ওয়্যারহাউজ স্থাপন, উন্নত পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পচনশীল পণ্যের জন্য বিমানবন্দরে বিশেষ ওয়্যারহাউজ স্থাপন, কৃষিপণ্যের জাত এবং গুণগত মান উন্নয়ন, চাষ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা (পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট) উন্নত করা, প্যাকেজিং প্রভৃতি বিষয়ে কৃষক, রপ্তানিকারণসহ অন্যান্য অংশীজনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব জানানো হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মোহাম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট, মো. আবুল হাশেম, বাংলাদেশ বিমানের কার্গো এক্সপোর্ট বিভাগের ডিজিএম তফাজ্জল হোসেন আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।