পরীমণি-সাকলায়েন কাণ্ডে যা বললেন পুলিশের আইজিপি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন অবৈধ সম্পর্কের ঘটনাটি নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই সাকলায়েনকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে পরীমণি-সাকলায়েন কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেকোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার কোনো সুযোগ নেই, পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যাদের অবৈধ সম্পদ থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের দ্বন্দ্বের বিষয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসন হবে।
এ সময় পুলিশপ্রধান আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রায় ১০০ বছরের ওপরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। একসময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এ দেশের মানুষের সেবা দিয়ে গর্বিত হতে চায়। এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘দেশ সেবাই আমাদের আনন্দ, সেবাই আমাদের উৎসব’। সেই সেবাকে ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এর আগে তিনি ৪ তলা অস্ত্রাগার ভবন, ৬ তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ ছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।
পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।